

চরভদ্রাসনে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের হরিরামপুর ইউপির ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে এ কাজের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ।
সুলতান মাহমুদ বলেন, সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিটার ভাঙন এলাকায় এই জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা, মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভীর হোসেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহসহ প্রমুখ।


জিও ব্যাগে স্বপ্ন বুনছে পদ্মাপাড়ের মানুষ
পদ্মার প্রবল স্রোত আর আছড়ে পড়া ঢেউ দেখিয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জের বৃদ্ধ মোতালেব হোসেন বলছিলেন, ‘দেহেন ক্যামনে ঢেউ ভাঙছে। বালুর বস্তা না থাকলে এবার মুলফৎগঞ্জের চিহ্নও থাকত না। স্রোতে সব গাঙের পেটে লইয়া যাইতো।’ হাত বাড়িয়ে মধ্য পদ্মার দিকে ইশারা করে ষাটোর্ধ্ব মোতালেব বলেন, ঠিক ওই জায়গায় তার বসতি ছিল। হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘গত বছর জমিজমার সঙ্গে বাড়িঘর পদ্মায় খাইছে। অহন মসজিদে থাকি।’ মোতালেব হোসেন পেশায় মসজিদের ইমাম। গত বছরের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ও মুলফৎগঞ্জে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে অনেকের সঙ্গে তার জমিজমা ও বাড়িঘরও নদীর পেটে গেছে। এক বছর পর সম্প্রতি নদীর তীরঘেঁষা মুলফৎগঞ্জ বাজারে কথা হয় মোতালেব হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। বাজার থেকেও কানে আসছিল আছড়ে পড়া ঢেউ ও ঘূর্ণি স্রোতের আওয়াজ। গতবারের সঙ্গে পার্থক্যটা হলো এবার নতুন করে দীর্ঘশ্বাস নেই তাদের। রয়েছে আশাবাদ। গতবারের ভাঙনে সব হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। কেননা দীর্ঘ তীরজুড়ে বালুর বস্তা ও কংক্রিটের ব্লক দিয়ে বাঁধ দেওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে নদী নতুন করে পাড় ভাঙতে পারেনি।