লেভেলিং সার্ভে

লেভেলিং বলিতে কি বুঝ?
যে প্রক্রিয়া বা কলাকৌশলের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন বস্তু বা বিন্দুর আপেক্ষিক উচ্চতা বা গভীরতা নির্ণয় করা হয় তাকে লেভেলিং বলে।
এলিভেশন ও তুলনামূলক এলিভেশন বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট উপাত্ততল (Datum plane or line) হইতে ভূ-পৃষ্ঠস্থ যে- কোন বিন্দুর উচ্চতাকে ঐ বিন্দুর এলিভেশন (elevation) বলা হয়। অপরদিকে, যে কোন দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী এলিভেশনের পার্থক্যকে উক্ত দুই বিন্দুর তুলনামূলক এলিভেশন (উচ্চতা বা গভীরতা) বলে।
লেভেলিং কেন করা হয় বা ইহার উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তরঃ নিম্নলিখিত কারণে লেভেলিং করা হয়।
(ক) বিভিন্ন রুট প্রোজেক্ট (route project) বাস্তবায়ন করা যেমন, সড়ক, রেলপথ, সেচখাল, পানি বা সিউয়ার লাইনের স্থান নির্বাচনের সময় উহাদের এলাইনমেন্ট বরাবর ও আড়াআড়ি ভূ-পৃষ্ঠের প্রোফাইল বা বিভিন্ন বিন্দুর বন্ধুরতা (undulation) নির্ণয় করার জন্য।
(খ) সড়ক, রেলপথ, সেচখাল ইত্যাদির মাটিকাটা বা ভরাট করার পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য।
(গ) ড্রেনেজ প্রোজেক্টের বেলায় ridge বা valley লাইনের স্থান নির্বাচেন এবং সিউয়ারের সুবিধামত আকার ডিজাইন করার নিমিত্তে ড্রেনেজ, এলাকার আয়তন নির্ণয় করার জন্য।
(ঘ) ইমারতের জন্য প্রস্তাবিত সংরক্ষিত এলাকার ভূমিরূপ নির্ণয়ের জন্য।
(ঙ) কন্টুর ম্যাপ হইতে কোন জলাধার, ক্যাচমেন্ট এলাকার আয়তন নিণয়ের জন্য।
(চ) স্থানীয় লেভেলিং কাজে ব্যবহারের নিমিত্তে অতিরিক্ত বি, এম, স্থাপন করার জন্য।
(ছ) সড়ক, রেলপথ ইত্যাদির প্রস্তুতিতল (Formation level) স্থাপন করা বা নিরীক্ষা করার জন্য।
(জ) কোন নির্দিষ্ট এলাকার ভূমিকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় লেভেল করার জন্য।
(ঝ) সড়ক, রেলপথ, খাল, ছাঁদ, মেঝে ইত্যাদির ঢাল নির্ণয়ের জন্য।
(ঞ) ব্রিজ, কালভার্ট, সড়ক, রেলপথ, ইমারত নির্মাণকালে সর্বোচ্চ বন্যা সমতল
(H.F.L) নির্ণয় করার জন্য।
(ট) বাস্তু সংস্থাপনের সময় বুনিয়াদ তলের সমতলতা নিরীক্ষণের জন্য।
(ঠ) কন্টুর ম্যাপ প্রস্তুত করা সহ বহুবিধ কাজের জন্য লেভেলিং করা হয়।
সাউন্ডিং লঘুকরণ কাকে বলে?
জোয়ারভাটা স্রোতের হ্রাসবৃদ্ধি বা স্রোতযুক্ত জলাশয়ের পানি পৃষ্টতল সব সময় স্থির থাকে না বরং উঠানামা করে। ফলে বিভিন্ন বিন্দুতে একই উচ্চতার পানি তল থেকে সাউন্ডিং গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। এ জন্য প্রত্যেক বিন্দুতে সাউন্ডিং গ্রহণের সময় গেজপাঠ নেওয়া হয়। গৃহীত গেজ পাঠ ও সাউন্ডিং এর সাহায্যে নির্দিষ্ট উপাত্ত তলের সাপেক্ষে প্রত্যেক বিন্দুতে গেজ সংশোধনী প্রয়োগ করে সাউন্ডিং এর মান নির্ণয় করার প্রক্রিয়াকে সাউন্ডিং লঘুকরণ বলে।
ফ্লাই লেভেলিং বলতে কী বুঝায়?
কোন বেঞ্চমার্ক হতে দূরবর্তী স্থানে আর এল বহন করে নেওয়ার জন্য বা কোন স্থানের এলিভেশন জানার জন্য কেবলমাত্র অগ্রবর্তী ও পশ্চাৎ পাঠ গ্রহনের মাধ্যমে যে লেভেলিং কাজ করা হয় তাকে ফ্লাই লেভেলিংবলে।
নতুন প্রকল্পের ক্ষেএে জমির উচনিচু জানার গুরুত্ব
নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমির উচ্চতা ও ঢাল সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রকল্পের নকশা, পরিকল্পনা, এবং নির্মাণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। জমির উঁচুনিচু জানার গুরুত্ব নিম্নরূপ:
১. সঠিক নকশা ও পরিকল্পনা:
জমির ঢাল ও উচ্চতার তথ্য ব্যবহার করে প্রকল্পের জন্য সঠিক নকশা এবং পরিকল্পনা তৈরি করা যায়। বিশেষ করে রাস্তাঘাট, বিল্ডিং, এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে উচ্চতা অনুযায়ী নির্মাণ পরিকল্পনা করলে প্রকল্পের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বাড়ে।
২. পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার পরিকল্পনা:
জমির ঢাল ও উচ্চতার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পানি নিষ্কাশন বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পনা করা সহজ হয়। পানি জমে থাকার সমস্যা এড়াতে এবং বন্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. খরচ সাশ্রয়:
জমির উঁচুনিচু বুঝে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করলে প্রয়োজনীয় কাটিং-ফিলিং, স্তরীকরণ, এবং পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা হয়। ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়ানো যায় এবং নির্মাণ খরচ কমানো সম্ভব হয়।
৪. ভূমির স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ:
ভূমির উঁচুনিচু জানার মাধ্যমে ভূমির স্থিতিশীলতা এবং মাটির ধরন বিশ্লেষণ করা যায়। এর ফলে ভূমিধস বা নির্মাণের পর স্থায়িত্ব সংক্রান্ত সমস্যাগুলি এড়ানো সম্ভব হয়।
৫. নির্মাণের সুবিধা ও স্থায়িত্ব:
জমির ঢাল ও উচ্চতার সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্মাণকাজের জন্য উপযোগী স্থান নির্ধারণ সহজ হয়, যা প্রকল্পের স্থায়িত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
৬. উপযুক্ত স্থাপনা বাছাই:
জমির উচ্চতা ও ঢাল সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে উপযুক্ত স্থাপনার ধরন ও অবস্থান নির্ধারণ সহজ হয়। যেমন, নিচু জমিতে নির্মাণ করার আগে সেই জমি পূর্ণ করতে হবে বা উঁচু জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ করলে কম খরচে পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা যায়।
৭. পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন:
জমির উঁচুনিচু সম্পর্কে তথ্য জানা থাকলে, নতুন প্রকল্পের জন্য পরিবেশের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করা যায়। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা করা সহজ হয়।
৮. মাটি ও নির্মাণ উপকরণ ব্যবস্থাপনা:
জমির উঁচুনিচু নির্ধারণের ফলে প্রয়োজনীয় মাটি সরবরাহ, স্থানান্তর এবং নির্মাণ উপকরণের ব্যবস্থাপনা সহজ হয়, যা প্রকল্পের সময়সীমা এবং খরচ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
উপসংহার:
নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমির উচ্চতা ও ঢাল সম্পর্কে সঠিক ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকল্পের সঠিক পরিকল্পনা, খরচ নিয়ন্ত্রণ, এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।

নতুন প্রকল্পের ক্ষেএে বেঞ্চমার্কের গুরুত্ব
নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা প্রকল্পের সঠিকতা, নির্ভুলতা, এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। বেঞ্চমার্ক মূলত এমন একটি নির্দিষ্ট রেফারেন্স পয়েন্ট যা উচ্চতা বা অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়, এবং এটি বিভিন্ন জরিপ ও নির্মাণ কার্যক্রমে প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে বেঞ্চমার্কের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:
১. উচ্চতা নির্ধারণের জন্য ভিত্তি:
বেঞ্চমার্ক সঠিক উচ্চতা নির্ধারণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ভিত্তি প্রদান করে, যা নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভূমির ঢাল, পাইল, ভিত্তি ইত্যাদির উচ্চতা নির্ধারণে সাহায্য করে।
২. সঠিক পরিমাপের নিশ্চয়তা:
বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানের সঠিক অবস্থান ও উচ্চতা নির্ধারণ করা যায়। এর ফলে জরিপ ও নির্মাণকাজে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত হয়, যা প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে সহায়ক।
৩. ধারাবাহিকতা বজায় রাখা:
একটি নির্দিষ্ট বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে পরবর্তী কাজগুলো সঠিক ধারাবাহিকতায় সম্পন্ন করা যায়। এটি নিশ্চিত করে যে পুরো প্রকল্পজুড়ে পরিমাপের একক মান বজায় থাকবে।
৪. নকশা ও পরিকল্পনার ভিত্তি:
বেঞ্চমার্ক প্রাথমিক নকশা ও পরিকল্পনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকল্পের বিভিন্ন স্তরের জন্য সঠিক পয়েন্ট ও উচ্চতার তথ্য প্রদান করে বেঞ্চমার্ক, যা প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়ক।
৫. পুনরায় জরিপ বা মেরামতে সহায়ক:
কোনো পুনর্গঠন বা মেরামতের প্রয়োজন হলে বেঞ্চমার্ক পুনরায় ব্যবহার করা যায়, যা নতুন জরিপে অতিরিক্ত সময় ও খরচ সাশ্রয় করে।
৬. মান বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ:
বেঞ্চমার্কের সঠিক ব্যবহার প্রকল্পের মান বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৭. ভূ–তাত্ত্বিক পরিবর্তন পর্যালোচনা:
বেঞ্চমার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় ভূ-তাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলোর তুলনা ও বিশ্লেষণ সহজ হয়, যা প্রকল্পের স্থায়িত্ব ও স্থিতিশীলতা মূল্যায়নে সহায়ক।
উপসংহার:
নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্কের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সঠিক পরিকল্পনা, ডিজাইন, এবং নির্মাণ নিশ্চিত করে এবং প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব ও গুণগত মান বজায় রাখতে সহায়তা করে। বেঞ্চমার্কের সঠিক ব্যবহার প্রকল্পের সফলতা ও কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বেঞ্চমার্ক বলতে কী বুঝায়?
যে নির্দিষ্ট স্মারক বিন্দুর এলিভেশন বা আর এল জানা আছে তাকে বেঞ্চমার্ক বলে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থাপন করা হয়।
প্রয়োজনীয়তাঃ
১। কোন নির্দিষ্ট এলাইনমেন্ট বরাবর নির্দিষ্ট দূরত্ব পরস্পর বিভিন্ন বিন্দুর এলিভেশন বা তুলনামূলক উচ্চতা বা গভীরতা নির্ণয় করার জন্য,
২। ভবিষ্যৎ জরিপ কার্যের রেফারেন্স নেওয়ার জন্য
৩। কোন নির্দিষ্ট লেভেল লাইনের দিক পরিবর্তন করার জন্য।
৪। দৈনিক কাজের শুরুতে লেভেলিং শুরু করা বা কাজ চালাইয়া যাওয়া।
৫। লেভেলিং কাজের যথার্থতা যাচাই করা ইত্যাদির জন্য বি, এম ব্যবহৃত হইয়া থাকে।
প্রকারভেদঃ
বেঞ্চ মার্ক প্রধানতঃ চার প্রকার যেমনঃ
(১) জি, টি, এস বেঞ্চ মার্ক ।
(২) স্থায়ী বেঞ্চ মার্ক ।
(৩) ধার্যকৃত বেঞ্চ মার্ক ।
(৪) অস্থায়ী বেঞ্চ মার্ক।
(ক) জি,টি, এস বেঞ্চ মার্ক (Great triangulation survey):
রাষ্ট্রীয় জরিপ সংস্থা কর্তৃক খুব সুক্ষ্মভাবে ত্রিভূজায়ন জরিপ করিয়া সমগ্র দেশ জুড়িয়া সুদূরবর্তী বিভিন্ন স্থানে G.T.S বেঞ্চ মার্ক স্থাপন করা হয়। যাহার অবস্থান, এলিভেশন, উক্ত সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় প্রকাশ করা হয়।
খ) স্থায়ী বি, এম, (Permanent B.M.):
ইহা জি, টি, এস বেঞ্চ মার্কের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী স্মারক বিন্দু। সরকারী সংস্থা যেমনঃ P.W.D.. R&H, WAPDA ইত্যাদি সংস্থা কর্তৃক ব্রিজ বা কালর্ভাটের Parapet wall এর উপর, দালানের কোণা, গেট পিলার, মাইল বা কিলোমিটার ফলক ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত ও স্থায়ী বিন্দুর উপরস্থাপন করা হয়।
(গ) ধার্যকৃত বেঞ্চ মার্ক (Arbitrary B.M):
ছোটখাট লেভেলিং কার্য যেখানে বিভিন্ন বিন্দুর তুলনামূলক উন্নতি-অবনতি জানা দরকার এবং M.S.L এর সহিত সম্পর্কযুক্ত নয় সেখানে দালানের প্লিন্থ ইত্যাদি সুবিধামত কোন স্থানে বা বিন্দুতে যে বি, এম ধার্য করা হয় তাহাকে অস্থায়ী বেঞ্চ মার্ক বলে।
(ঘ) অস্থায়ী বেঞ্চ মার্ক (temporary B.M)
দিনের কাজের শেষে বা কাজের বিরতির সময় সতর্কতার সহিত তুলনামূলকভাবে স্থায়ী বস্তু যেমনঃ কালভার্ট, বড় গাছের গোড়ায় স্পাইক পুঁতিয়া, গেটের পিলার, শক্ত মাটিতে খুঁটি পুঁতিয়া পরবর্তী দিনে বা বিরতির পর আবার কাজ শুরু করার জন্য রেফারেন্স বিন্দু হিসাবে ব্যবহারের জন্য যে বেঞ্চ মার্ক স্থাপন করা হয় তাহাকে অস্থায়ী বেঞ্চ মার্ক বলে।
সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় উচ্চতা বা এলিভেশন (M. S. L.: Mean Sea level):
৩০-৩৫ বৎসরের সমুদ্রের জোয়ার-ভাটার পানি পৃষ্ঠের উচ্চতার গড় নিয়া ইহা স্থির করা হয়। এক চান্দ্র মাস ব্যাপী সমান সংখ্যক H. W. O. S. TL. W. O. S. T. (High & Low water spring tide) এর গেজ পাঠের গড় নেওয়া হয়। এইভাবে বৎসরের বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন বৎসরে পাঠ নিয়া উহাদের গড় নিয়া সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় উচ্চতার (M. S. L) মান নির্দ্ধারণ করা হয় এবং সমুদ্র সৈকতে B. M এর উপর উহার এলিভেশন প্রতিষ্ঠিত করা হয়। M. S. L এর R. L শূন্য ধরা হয়। কোন বিন্দুর অবস্থান ইহার উপরে বাং নীচে হইলে উক্ত বিন্দুর আর, এল যথাক্রমে যোগবোধক বা বিয়োগবোধক ধরা হয়।
ডেটাস অব রিডাকশন (DR) বলতে কী বুঝায়?
ডেটাম অব রিডাকশন সংক্ষেপে DR বলা হয়। সমুদ্রের ৩০ হতে ৩৫ বছরের জোয়ারের গড় উচ্চতাকে mean sea level ধরা হয়। এ লেভেলকে উপাত্ততল বা ডেটাম বলে। সাগর সৈকত এটি BM আকারে 0.000M ধরে লিখে রাখা হয়। এ ডেটাম হতে জরিপ তথ্য এলাকায় R.L নির্ণয় করা হয়। এ R.L বা তলকে, ডেটাম অব রিডাকশন ধরা হয়।

ফ্লাই লেভেলিং কেন করা হয়?
কোন বেঞ্চমার্ক হতে দূরবর্তী কোন বিন্দুতে আর এল বহন করে নেওয়ার জন্য ফ্লাই লেভেলিং করা হয়।
ফ্লাই লেভেলিং (Fly Leveling) একটি জরিপ পদ্ধতি, যা মূলত উঁচু এবং নিম্ন অঞ্চলের উচ্চতা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ভূ-প্রকৃতি, স্থাপনা এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ফ্লাই লেভেলিং করার কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:
ফ্লাই লেভেলিং করার কারণ:
- উচ্চতা নির্ধারণ: প্রকল্পের নির্দিষ্ট স্থানগুলোর উচ্চতা নির্ধারণে সহায়ক। এটি বিশেষ করে নির্মাণ ও ডিজাইন প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য।
- ভূমির অবস্থান বিশ্লেষণ: ভূমির গঠন ও ভূ-অবস্থানের বিশ্লেষণের জন্য সহায়ক। এটি প্রকল্পের পরিকল্পনা ও নকশার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
- জলবাহী প্রকল্প: জলাধার, নদী, বা পাইপলাইনের জন্য সঠিক উচ্চতা নির্ধারণে সহায়ক। এটি জল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- মাটি পরীক্ষা: নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে মাটির উপযুক্ততা যাচাই করতে সহায়ক। ফ্লাই লেভেলিং মাটি পরীক্ষার সময় সঠিক উচ্চতা নির্ধারণে সহায়তা করে।
- নির্মাণ পরিকল্পনা: ভবন, সেতু, বা অন্য যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করে। উচ্চতা নির্ধারণ করলে নির্মাণের সময় সঠিকতা বৃদ্ধি পায়।
- ড্রেনেজ সিস্টেম ডিজাইন: সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করতে সহায়ক। এটি নিশ্চিত করে যে পানি সঠিকভাবে বের হয়ে যায় এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়।
- অবকাঠামোর স্থায়িত্ব: নির্মিত অবকাঠামোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সহায়ক। সঠিক উচ্চতা নিশ্চিত করে যে ভবন বা সেতু স্থায়ী হবে।
- অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উন্নতি: অভ্যন্তরীণ পরিবেশের জন্য সঠিক উচ্চতা ও লেভেলিং নিশ্চিত করে। এটি জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
ফ্লাই লেভেলিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা সঠিক উচ্চতা ও স্তরের তথ্য প্রদান করে, যা পরবর্তী প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
৫। অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক কাকে বলে?
পানি বিজ্ঞান বিষয়ক (Hydrographic) লেখচিত্রের জরিপ কার্যের শুরুতে অনুভূমিক দূরত্ব মাপার বা পরীক্ষার জন্য যে নিয়ন্ত্রক বিন্দুসমূহ স্থাপন করা হয়, তাকে অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক বলে।
অনুভূমিক নিয়ন্ত্রকের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্থিতিশীল রেফারেন্স পয়েন্ট:
অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে নির্ধারিত পয়েন্টগুলি দৃঢ় এবং স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়, যেন এগুলি দীর্ঘ সময় ধরে জরিপ কাজে ব্যবহার করা যায়। - উচ্চ নির্ভুলতা:
এই নিয়ন্ত্রণ পয়েন্টগুলি সাধারণত জিপিএস বা টোটাল স্টেশনের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা হয়, যাতে ভুলের সম্ভাবনা কম থাকে। - নেটওয়ার্ক নির্মাণ:
অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক পয়েন্টগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, যা পুরো এলাকার একটি নির্ভুল নেটওয়ার্ক গঠন করে এবং পরবর্তী জরিপ কাজে সহায়তা করে। - জরিপ কাজের ভিত্তি:
ভবন নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নকশা এবং লেআউটের নির্ভুল অবস্থান নির্ধারণের জন্য অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়। - মানচিত্রণ ও প্রকৌশল কাজে সহায়ক:
অনুভূমিক নিয়ন্ত্রকগুলি এলাকার মানচিত্রণ এবং প্রকৌশল সংক্রান্ত কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কেননা এগুলির মাধ্যমে এলাকার সঠিক অবস্থানগত বিশ্লেষণ এবং চিত্রায়ণ সম্ভব হয়।
অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক পয়েন্টগুলি প্রকল্পের নির্ভুলতা এবং সফলতার জন্য অপরিহার্য, কারণ এগুলি জরিপকারীদের জন্য নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য ডেটা সরবরাহ করে।
৬। উলম্ব নিয়ন্ত্রক কাকে বলে?
নদী তীর বা সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি যে স্মারক বেঞ্চ মার্ক থেকে অন্যান্য বিন্দুর খাড়া উচ্চতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে, তাকে উলম্ব নিয়ন্ত্রক বলে।
উলম্ব নিয়ন্ত্রকের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চতা নির্ধারণ:
উলম্ব নিয়ন্ত্রকগুলি নির্ভুলভাবে উচ্চতার মান নির্ধারণ করে, যা একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এভাবে একাধিক পয়েন্টের মাধ্যমে একটি স্থায়ী উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়। - স্থায়ী পয়েন্ট:
এই নিয়ন্ত্রণ পয়েন্টগুলি সাধারণত স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারের জন্য স্থিতিশীল থাকে। এগুলি সাধারণত স্থানে স্থাপিত একটি লোহার পিন বা বেন্চমার্ক প্লেট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। - নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স:
উলম্ব নিয়ন্ত্রক পয়েন্টগুলি যথাযথ মেশিন বা যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে মাপা হয়, যেন যেকোনো সময় সঠিক উচ্চতার মান পাওয়া যায় এবং এর ভিত্তিতে অন্য পয়েন্টের উচ্চতা নির্ধারণ করা যায়। - নির্মাণ ও অবকাঠামোগত কাজে সহায়ক:
ভবন, সেতু, রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে সঠিক উচ্চতা নির্ধারণ করতে উলম্ব নিয়ন্ত্রক পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদের মাধ্যমে ভূমির সঠিক ঢাল এবং উচ্চতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। - পরবর্তী জরিপ কাজে সহায়ক:
উলম্ব নিয়ন্ত্রক পয়েন্টগুলি একটি স্থায়ী উচ্চতার মান সরবরাহ করে যা বিভিন্ন ধরনের জরিপ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি ব্যবহার করে স্থাপনা ও প্রকল্পের উচ্চতা সংক্রান্ত নির্ভুলতার মান বজায় রাখা যায়।
উলম্ব নিয়ন্ত্রক পয়েন্টগুলি উঁচু-নিচু স্থানের সম্পর্কিত নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করে এবং নির্মাণ কাজের সফলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নতুন প্রকল্পের ক্ষেএে বেঞ্চমার্কের নিয়ে কাজ করার গুরুত্ব
নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক (Benchmark) নিয়ে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেঞ্চমার্ক হলো একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট যার উচ্চতা বা মান নির্ধারণ করা হয়, যা নির্মাণ কাজের সময় নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এর গুরুত্ব নিম্নরূপ:
১. সঠিক উচ্চতা নির্ধারণ:
বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সঠিক উচ্চতা নির্ধারণ করা যায়। এটি প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে যাতে ভবন, রাস্তা, বা অন্যান্য অবকাঠামোর স্তরের পরিকল্পনা সঠিকভাবে করা যায়।
২. নির্মাণের স্থিতিশীলতা:
বেঞ্চমার্ক স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ স্থলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হয়। এটি মাটি বা জমির অবস্থান বুঝতে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা করতে সহায়তা করে।
৩. প্রকল্পের অগ্রগতি নিরীক্ষণ:
বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করা হলে, প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা সহজ হয়। এটি নির্মাণের সময়পত্র অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে সহায়ক।
৪. জলবায়ু প্রভাব মূল্যায়ন:
নতুন প্রকল্পের জন্য বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে জলবায়ু এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা যায়। এটি সঠিকভাবে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করতে সহায়ক।
৫. বিভিন্ন পর্যায়ের মান নির্ধারণ:
বেঞ্চমার্কগুলি প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের মান নির্ধারণ করতে সহায়তা করে, যা নির্মাণ কাজের সময় উচ্চতার সঠিকতা এবং সামঞ্জস্য নিশ্চিত করে।
৬. মাটি ও নির্মাণ উপকরণের ব্যবস্থাপনা:
বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে মাটি ও অন্যান্য নির্মাণ উপকরণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা যায়, যা সঠিকভাবে পরিবহন এবং সংরক্ষণে সহায়ক।
৭. পরিকল্পনা ও ডিজাইন:
বেঞ্চমার্কের তথ্য ব্যবহার করে প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং ডিজাইন তৈরি করা হয়, যা অবকাঠামোর স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
৮. আইনগত ও নিয়ন্ত্রণাধীন দিক:
বেঞ্চমার্ক ব্যবহার করে স্থানীয় এবং জাতীয় আইন ও নিয়মাবলী অনুযায়ী নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা যায়, যা ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক নিয়ে কাজ করা একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। এটি নির্মাণের সঠিকতা, স্থিতিশীলতা, এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করে এবং প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমতলমিতির উদ্দেশ্যগুলো ?
সমতলমিতির উদ্দেশ্যগুলো হলো:-
1. বিভিন্ন বিন্দু বা বস্তুর আপেক্ষিক উচ্চতা বা গভীরতা নির্ণয়।
ii. সড়ক, জনপথ, সেচ, খাল ইত্যাদির মাটি কাটা ও ভরাটের পরিমাপ। iii. কন্টুর নকশা তৈরি, মাটির পরিমাণ ও জলাধারের ধারণক্ষমতা নির্ণয়।
iv. কোনো এলাকায় স্থায়ীভাবে বেঞ্চমার্ক স্থাপন
v. রাস্তা বা রেলপথের প্রস্তুতি তল নির্ণয়।
vi. সর্বোচ্চ বন্যাতল নির্ণয়।
vii. ইমারতের প্লিন্থ লেভেল, মেঝে, ছাদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমতলমিতি ব্যবহার করা হয়।
সমীক্ষা এবং সমতলকরণ কি
একইভাবে, যে প্রক্রিয়া বা কৌশল দ্বারা পৃথিবীর পৃষ্ঠের বিভিন্ন বিন্দু বা বস্তুর আপেক্ষিক উচ্চতা বা গভীরতা নির্ণয় করা হয় তাকে জরিপ ও সমতলকরণ বলে।
সমীক্ষা এবং সমতলকরণের উদ্দেশ্য
(ক) রাস্তা, রেলপথ, সেচ খাল, জল বা নর্দমা লাইনের মতো বিভিন্ন রুট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা তাদের পৃষ্ঠের প্রান্তিককরণ এবং অনুভূমিক পৃষ্ঠের প্রোফাইল বা বন্ধুত্ব নির্ধারণের জন্য।
(খ) বিভিন্ন প্রকল্পে মাটি ভরাট বা ভরাটের পরিমাণ নির্ধারণ করা।
(গ) নিষ্কাশন প্রকল্পের সময় নিম্মোতে ড্রেনেজ এলাকা নির্ধারণ এবং সুবিধাজনক নর্দমার আকার ডিজাইন করা।
(D) নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সংরক্ষিত এলাকার টপোগ্রাফিক মূল্যায়নের জন্য।
(ঙ) কনট্যুর ম্যাপ থেকে যেকোন জলাধার, জলাশয় এলাকার আয়তনের হিসাব।
(চ) নিম্মোতে অতিরিক্ত বি, এম, ইনস্টল করা।
(ছ) রাস্তা, রেলপথ ইত্যাদির প্রস্তুত পৃষ্ঠ পরিদর্শনের জন্য।
(জ) একটি নির্দিষ্ট এলাকার জমি একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় সমীক্ষা ও সমতল করা।
(I) রাস্তা, রেলপথ, খাল, ছাদ, মেঝে ইত্যাদির ঢাল নির্ণয়।
(জ) সেতু, কালভার্ট, রাস্তা, রেলপথ, ভবন নির্মাণের সময় সর্বাধিক প্লাবন সমভূমি নির্মাণ করা।
(ট) পরিবেশগত ইনস্টলেশনের সময় ভিত্তি তল সমতলকরণ পর্যবেক্ষণের জন্য।
সমীক্ষা সমতলকরণের কাজ পরিচালনা করতে আমরা কী সরঞ্জাম ব্যবহার করি
একইভাবে, বিভিন্ন বিন্দুর উচ্চতা নির্ধারণের জন্য, আমরা সমতলকরণের কাজে প্রধানত চারটি জিনিস ব্যবহার করি যা হল-
(ক) সার্ভেয়িং এবং লেভেলিং মেশিন
(খ) স্টাফ
(গ) চেইন বা টেপ এবং
(ঘ) এক স্তরের ফিল্ড বই বা প্রতিলিপি
যাইহোক, একটি লেভেল মেশিনের সাহায্যে, আমরা পৃথিবীর পৃষ্ঠের যে কোনও বিন্দুতে অনুভূমিক দৃষ্টি পেতে পারি। একইভাবে, দৃষ্টির অনুভূমিক রেখা, কর্মীরা একটি বিন্দুর উল্লম্ব দূরত্ব পরিমাপ করে এবং বিভিন্ন বিন্দুর দূরত্ব পরিমাপের জন্য চেইন বা ফিতা ব্যবহার করা হয়। উপরন্তু, আমরা কর্মীদের পাঠের দূরত্ব এবং ক্ষেত্রের অন্যান্য সমস্ত বিবরণ ফিল্ড বইয়ে রেকর্ড করি।
ফিল্ডওয়ার্কে জরিপ ও লেভেলিংয়ের গুরুত্ব
- একইভাবে, ইভেনাইজিং কাজ টপোগ্রাফারকে স্থল পৃষ্ঠ বা সমুদ্র পৃষ্ঠের একটি পাল্টা মানচিত্র তৈরি করতে সহায়তা করে।
- এটি টপোগ্রাফারকে একটি স্থল স্তর স্থাপন করতে সাহায্য করে যার উপর তারা একটি বিল্ডিং তৈরি করতে পারে।
- সমীক্ষার ডেটা সমতলকরণ পাইপ পরিবহন প্রকৌশলীদের জমির উপযুক্ত ঢাল স্পষ্ট করতে সাহায্য করে যা তরল মসৃণ চলাচলের অনুমতি দেবে।
ডিফারেনশিয়াল সার্ভেয়িং এবং লেভেলিং
তদুপরি, ডিফারেনশিয়াল সার্ভেয়িং লেভেলিং হল অজানা বিন্দুর উচ্চতা নির্ধারণের জন্য একটি পরিচিত উচ্চতা বিন্দু থেকে উল্লম্ব দূরত্ব পরিমাপ করার প্রক্রিয়া।
উচ্চতা নির্ধারণের সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হল
- একটি ক্ষতিপূরণকারী প্রকার, স্বয়ংক্রিয় (ইঞ্জিনিয়ারিং স্তর) এবং স্তরের রড(গুলি),
- একটি বারকোড রড সহ একটি ইলেকট্রনিক ডিজিটাল বারকোড সমতলকরণ যন্ত্র।
একইভাবে, সমতলকরণ নীতির পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান এবং পদ্ধতি এবং সরঞ্জামের সঠিক প্রয়োগ ব্যয়বহুল বিলম্ব প্রতিরোধ করবে এবং প্রয়োজনীয় ফলাফল এবং নির্ভুলতা তৈরি করবে।
উচ্চতা প্রাপ্তির পছন্দের পদ্ধতি (অভিরুচি/নির্ভুলতার ক্রম অনুসারে)
- ডিফারেনশিয়াল সার্ভেয়িং এবং লেভেলিং – নিয়ন্ত্রণ বেঞ্চমার্ক, ক্রস-সেকশন, পয়েন্ট উচ্চতা
- ত্রিকোণমিতিক লেভেলিং – ডিজিটাল টেরেইন মডেল (ডিটিএম), 3ডি মডেলের জন্য
- অনুভূমিক দূরত্ব এবং উল্লম্ব কোণ পরিমাপ করে পরোক্ষ সমতলকরণ (এবং অবস্থান)
- ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্ক – অনুভূমিক অবস্থান এবং উচ্চতা উভয়ই পরিমাপ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গণনা করা হয়
- জিপিএস জরিপ – উপযুক্ত সরঞ্জাম, পদ্ধতি এবং ডেটা সংগ্রহের প্রেক্ষিতে।
- তদুপরি, জরিপ এবং সমতলকরণের অন্যান্য ফর্মগুলি উপলব্ধ তবে আমরা এই ম্যানুয়ালটিতে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করছি না কারণ তাদের ব্যবহার সীমিত হতে পারে।

একইভাবে, চিত্র 4-3-এর পদ্ধতিটি একটি পরিচিত আরোহণ এবং যন্ত্রপাতির উচ্চতার মধ্যে উচ্চতার পার্থক্য ব্যবহার করে। অতএব, উচ্চতা থেকে উচ্চতা মধ্যে পার্থক্য
একটি অজানা আরোহণ বিন্দুতে যন্ত্রপাতি.
একইভাবে, একটি সম্পূর্ণ বোঝাপড়ার সাথে, আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের লেভেলিং পরিষেবা প্রদান করি। বিশেষ করে, আমাদের দলের জ্ঞান এবং দক্ষতার কারণে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। একইভাবে আমাদের কাছে বুদ্ধিমান কর্মচারী রয়েছে, যারা সংজ্ঞায়িত নির্দেশের সাথে একমত হয়ে এই পরিষেবাগুলি অফার করে
পরিষেবা বিবরণ
- উপরন্তু, সোনার বাংলা সার্ভে কনসালটেন্ট জরিপ এবং সমতলকরণের একটি চমৎকার মানের পরিসর অফার করতে সহায়ক এবং ভালভাবে প্রস্তুত।
- কিন্তু এছাড়াও, ভারসাম্যের লক্ষ্য হল পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপর বা নীচে বিভিন্ন বস্তুর আপেক্ষিক উচ্চতা নির্ধারণ করা এবং স্থল পৃষ্ঠের দোলন নির্ধারণ করা।
ভূমি জরিপ এবং সমতলকরণ পরিষেবা
ভূমি জরিপ এবং সমতলকরণ পরিষেবা বিভিন্ন নির্মাণ, উন্নয়ন, এবং অবকাঠামো প্রকল্পের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিষেবার মাধ্যমে ভূমির সঠিক পরিমাপ ও বিশ্লেষণ করা হয়, যা স্থাপনার জন্য নির্ভুল পরিকল্পনা এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে। ভূমি জরিপ এবং সমতলকরণ পরিষেবার কিছু মূল দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
ভূমি জরিপ পরিষেবা:
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় ভূমির সীমানা, উচ্চতা, ঢাল এবং স্থানীয় বৈশিষ্ট্য। এর মাধ্যমে জমির বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করা হয়, যা জমির মালিকানা নির্ধারণ, আইনগত কাজ, এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজন।
- সীমানা নির্ধারণ:
ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা যায়, যা জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে সহায়ক। এটি জমির লিজ, বিক্রয় এবং ক্রয়ের জন্য অপরিহার্য। - টপোগ্রাফিক জরিপ:
জমির উচ্চতা, ঢাল, এবং ভূগর্ভস্থ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ডেটা প্রদান করে, যা নির্মাণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। - ম্যাপিং এবং ডিজিটাল মানচিত্র প্রস্তুত:
ভূমি জরিপের মাধ্যমে ডিজিটাল ম্যাপিং তৈরি করা যায়, যা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং প্রকল্পে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। - ভূমির অবকাঠামো ও ব্যবহারের জন্য ডেটা সংগ্রহ:
এই পরিষেবার মাধ্যমে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন রাস্তা, সেতু, এবং বিল্ডিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় জমির বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারযোগ্যতা মূল্যায়ন করা সম্ভব।
সমতলকরণ পরিষেবা:
সমতলকরণ পরিষেবার মাধ্যমে জমির উচ্চতা নির্ধারণ করে মাটি সমতল করার কাজ করা হয়, যা সঠিক পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অপরিহার্য। এটি বিভিন্ন প্রকল্পে জমির স্থায়িত্ব এবং কাঠামোগত শক্তি নির্ধারণে সহায়ক।
- স্থায়িত্ব এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করা:
সঠিক সমতলকরণের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের স্থায়িত্ব এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, যা ভবন এবং অন্যান্য অবকাঠামো স্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। - প্রয়োজনীয় পরিমাপ এবং ডেটা প্রদান:
সমতলকরণের মাধ্যমে জমির উচ্চতা, ঢাল এবং অন্যান্য ভূ-প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক পরিমাপ সংগ্রহ করা যায়, যা নকশা এবং পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। - জমির ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি:
জমির উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় ব্যবহারের জন্য সমতলকরণ প্রক্রিয়া জমিকে প্রস্তুত করে তোলে, যা ভবিষ্যতের প্রকল্পের সময় কম পরিশ্রম ও খরচ নিশ্চিত করে।
উপসংহার:
ভূমি জরিপ এবং সমতলকরণ পরিষেবাগুলি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জমির সঠিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এই পরিষেবাগুলি যথাযথ পরিকল্পনা, ডিজাইন, এবং নির্মাণে সহায়তা করে, যা প্রকল্পের সাফল্য এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে।